শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বনানী সামরিক কবরস্থানে নিহতদের প্রতি পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি এবং সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা ও নিহতদের স্বজনরা বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) সদর দপ্তরে ১৪ বছর আগে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত সেনা সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ বনানী সামরিক কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানান।
পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা স্যালুট প্রদান করেন।
এ ছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল, বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আমিরুল ইসলাম খান নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
১৪ বছর আগে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের (বর্তমান নাম বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি) সদর দপ্তর পিলখানাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্রোহ হয়। পিলখানায় নির্মম হত্যাযজ্ঞের শিকার হন বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা। মোট নিহত হন ৭৪ জন। দুই দিনব্যাপী ওই বিদ্রোহে নিষ্ঠুর আচরণ ও পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন বিডিআরের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালনরত অনেক কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।