মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ায় তিন নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একটি শিক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় বেলজিয়ামের রানি শিশুদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে ওঠেন। এর আগে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে একটি ফ্লাইটে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। জাতিসংঘ মহাসচিবের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবের দূত হিসেবে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন বেলজিয়ামের রানি মাথিল্ডে।

এ দিন বেলজিয়ামের রানি রোহিঙ্গা শিশুদের লার্নিং সেন্টারে গিয়ে শিক্ষাদান পদ্ধতি দেখেন। কথা বলেন রোহিঙ্গা শিশু ও নারীদের সঙ্গে। পরে ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গাছের চারা রোপণ করেন তিনি। ক্যাম্পে জাতিসংঘের কার্যক্রমের পাশাপাশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির জীবনযাপন ও রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মাথিল্ডে।

রানির সঙ্গে রয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল। শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বেলজিয়ামের রানির এ সফর বাংলাদেশ-বেলজিয়ামের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিকে বাংলাদেশের যে সহায়তা তা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও জোরালো আলোচনা হবে। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে সসম্মানে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া সহায়ক হবে।’

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবের দূত হিসেবে তিনি বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। মঙ্গলবার বিকেল ৪টার পর তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প ত্যাগ করেন এবং সন্ধ্যা ৬টায় কক্সবাজার বিমান বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।