8
/ 100
খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত ৫ নং ওয়ার্ডস্থ চেয়ারম্যানপাড়া নিবাসি বীর মুক্তিযোদ্ধা আর্মি মুসলিম মিয়ার ভারাটিয়া ভূমিহীন দরিদ্র দিনমজুর আব্দুল লতিফের ছেলে নাজিম উদ্দিন (১৯)।

পেশায় ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক। চার ভাইবোনে মধ্যে তিনি ৩য়। ৪ সদস্যের পরিবারে অভাব অনটনের সংসারে পড়ালেখা ছেড়ে আয় রোজগারের হাল ধরে নাজিম। মা বাবা এক বোন কে নিয়ে ভালোই চলচিলো সংসার। কিন্তু বিধি বাম, সে ভালো কপালে বেশি দিন সইলনা। করোনা কালিন সময় গত ১৭মে/২০২১ সালে এক মর্মান্তীক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তার সাথে থাকা অপর জন ঘটনাস্থলে মার যায়। সু-ভাগ্য ক্রমে নাজিম সাথে সাথে মারা না গেলেও চিকিৎসার অভবে ধীরে ধীরে মৃত্যু দিকে ধাবিত হচ্ছে। তার ডান পয়ের রানের অংশ মাংস কেটে আলেদা হয়ে যায়। তল পেটের নরম অংশ থেতলে যায়। তাৎক্ষনিক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি করলে সুচিকিৎসার সার্থে বাম পায়ের রানের অংশ থেকে মাংস কেটে ডান পায়ের রানে লাগানো হয়। চিকিৎসার পরামর্শ অনুসারে হাসপাতালে একমাস থাকার কথা ছিল। কিন্তু টাকা না থাকায় বেন্ডেজের পরপর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় নাজিম কে। ডাক্তারে পরামর্শ অনুযায়ী ১৫ দিন পরে আবার মেডিকেলে গিয়ে ড্রেসিং কারার কথা থাকলেও টাকার অভাবে যাওয়া হয়নি। ফলে শরীরের ক্ষত স্থান গুলে পঁচন ধরে। দিন মুজুর বাবার সর্বশেষ সম্বল ১০শতক বসত ভিটা বিক্রি করে ছেলের সিকিসা জন্য। কিন্তু বসত ভিটা যে দামে বিক্রি করেছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুই নগন্য। ছেলের সিকিৎসার জন্য সব কিছু হারিয়ে ভুমিহীন হয়ে প্রয় ২বছর ভাড়া বাড়িতে আছেন লতিফ মিয়। নুন আনতে পানতা পুরায় এমন অবস্থায় ছেলের চিকিৎসা বন্ধ করে দেয়ায় আবারো ক্ষতস্থান গুলোতে পঁচন ধনেছে। নাজিমের বাবা লতিফ মিয়া বলেন, চিকিৎসার করার মত আমার টাকা নাই। চিকিৎসার অভাবে ২বছর ধরে বিচানায় পড়ে আছে। মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র ২হাজার টাকা দিয়েছিল। ডাক্তার বলেছেন ,আড়াই লাখ টাকা খরচ করলে নাজিম সুস্থ্য হয়ে যাবে। আমি গরিব মানুষ এত টাকা কোথায় পাব ?
সরজমিনে নাজিমের অবস্থা দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পালাম না। পঁচন যন্ত্রনা নিয়ে নাপা ঔষধ সেবন করে সুস্থতার আশা নিয়ে বেচে আছে নাজিম। বিত্তবানদের সামান্য সহযোগিতায় ফিরেফেতে সুস্থ্য জীবন।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: ০১৫৬৯১৩৮২০৫
(বিকাশ পার্সোনাল)। রোগি নিজের নাম্বার।