ইউনাইটেড হাসপাতালের ভুল চিকিৎসায় মার্কিন নাগরিক মোহাম্মদ ইউসুফ আল হিন্দি মৃত্যুর অভিযোগ তুলেছেন তাঁর বোন তালা এলহেনদি। গত বছর ২২ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। হিন্দি গালফ এয়ারের পাইলট ও ক্যাপ্টেন ছিলেন। ৪৬ দিন পর সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বেলা সাড়ে ১২টায় সংবাদ সম্মেলনে তালা এলহেনদি ওই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, তাঁর ভাই ফ্লাইট নিয়ে বাংলাদেশে আসার পর অসুস্থ হয়ে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হলে ভুল চিকিৎসায় ও অবহেলায় মারা যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে কাগজপত্র চাইলে অসহযোগিতা করে। তিনি হাসপাতালটির লাইসেন্স বাতিলের দাবি তোলেন। নিজের কর্মস্থল গালফ এয়ারও সময়মতো তাঁর চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারেনি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ভাইবোন দু’জনই যুক্তরাষ্ট্র ও জর্ডানের দ্বৈত নাগরিক। ভাইয়ের এমন মৃত্যুর পর তিনি বাংলাদেশে ছুটে আসেন। খোঁজখবর নিয়ে ইউনাইটেড হাসপাতাল ও গালফ এয়ার কর্তৃপক্ষের অবহেলার নানা প্রমাণ পেয়েছেন বলেও জানান।
তিনি বলেন, ঘটনার দিন ভোর ৪টার দিকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পড়ে যান হিন্দি। এ সময় তাঁর প্রথম কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। পরে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হলে কার্ডিওলজিস্টের বদলে অনভিজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অপ্রয়োজনীয় কিছু টেস্ট করিয়ে অযথা সময় নষ্ট করেন তাঁরা। ভোর সাড়ে ৫টায় হাসপাতালে নেওয়ার পর সকাল সোয়া ১১টায় মারা যান তিনি।
এলহেনদির অভিযোগ, সিসিটিভি ফুটেজ ও হাসপাতালের কাগজপত্রে কারসাজি করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডা. কায়সার নাসির এসব প্রক্রিয়া করেছেন বলে জানায়। কিন্তু নাসির কার্ডিওলজিস্ট কিনা, তাও পরিস্কার না। কারণ চিকিৎসার কাগজপত্রে তাঁর নাম উলেল্গখ নেই। তিনি হাসপাতালে সশরীরে ছিলেন না। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এলহেনদি। তাঁরা বলেছেন, চিকিৎসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এক ঘণ্টার জায়গায় ইউনাইটেড হাসপাতাল ছয় ঘণ্টা লাগিয়েছে। এ বিষয়ে ইউনাইটেড হাসপাতাল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।