6
/ 100
খাগড়াছড়ির রামগড়ে সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণে মূল মালিকদের নাম বাদ দিয়ে অন্যদের অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এসে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী অনেকে।

ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন আবু আহাম্মেদ অভিযোগ করেন ভূমির রেকর্ড ও সরকারি সকল ফি পরিশোধের পরও রামগড়-হেঁয়াকো-বারৈয়ারহাট সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পে রামগড় অংশে প্রকৃত মালিকদের দখলদার চিহ্নিত করে অধিগ্রহণের অর্থ লুটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। রামগড় ভূমি অফিস ও স্থানীয় ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট মিলে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে এমনি অত্যাচার চালাচ্ছে। ভুক্তভোগীদের মধ্যে আর একজন ফিরোজ উদ্দিন, তিনি জানান রামগড়ের সোনাইপুল বাজারে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। ২০০১ সালে ভূমি ক্রয় করে রেজিস্ট্রি করা হয়। কিন্তু গত (১৭) জানুয়ারী ২০২৩ইং খাগড়াছড়ি ডিসি অফিস থেকে ভূমি অধিগ্রহণের যে নোটিশ দেয়া হয়েছে সেখানে আমাদের দখলদার উল্লেখ করে আগের মালিকদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভূমি অফিসের লোকজন আগের মালিকের সাথে মিলে এ কাজ করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগের বিষয়ে খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব ফেরদৌসী বেগম জানান, পার্বত্য চট্টগ্রাম (ভূমি অধিগ্রহণ) প্রবিধান ১৯৫৮ অনুযায়ী রামগড় মৌজায় বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকোÑরামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ শীর্ষক প্রকল্পে জনস্বাথে ও জনকল্যাণ কাজে ভূমি অধিগ্রহণের নোটিশ জারি করা হয়েছে। যৌথ তদন্তের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ভূমির প্রকৃত মালিক নির্ধারণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা অভিযোগ করেছেন তাদের কথাও তদন্তে শোনা হবে। প্রসঙ্গত, বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ কাজে রামগড় অংশে ১৭ একর ভূমির অধিগ্রহণের আওতায় আসবে।