জাপানের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। বিশেষ করে জাপানের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে অটোমোবাইল এবং হালকা প্রকৌশল কারখানা স্থাপন করতে পারে বলে মন্তব্য জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে ব্যবসার বিশাল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে জাপান এগিয়ে আসতে পারে। জাপানি গাড়ির ব্যাপক চাহিদার কথা মাথায় রেখে তারা গাড়ির কারখানা স্থাপন করতে পারে। এতে উভয় দেশই সমানভাবে লাভবান হবেএফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার একটি কোম্পানি বাংলাদেশে কারখানা চালু করেছে। জাপানের অটোমোবাইল কোম্পানিগুলোও এখানে গাড়ি সংযোজন বা উৎপাদন শুরু করতে পারে। এখানে তারা যত দ্রুত কারখানা স্থাপন করবে, ব্যবসা সম্প্রসারণে তাদের জন্য ততই সুবিধা হবে।
এফবিসিসিআইর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজন হতে যাওয়া বাংলাদেশ বিজনেস সামিটের বিষয়েও জেট্রো প্রতিনিধি দলকে অবহিত করেন জসিম উদ্দিন। সামিটে জাপানের ব্যবসায়ীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বেসরকারি খাত জাপানের সঙ্গে ব্যবসা ও বাণিজ্য সম্প্র্রসারণে আগ্রহী। স্থানীয় উদ্যোক্তারা পরিবেশবান্ধব শিল্প স্থাপনে জোর দিয়েছেন। টেকসই শিল্পায়ন নিশ্চিতে উভয় দেশের মধ্যে প্রযুক্তির আদান-প্রদান জরুরি।
বৈঠকে জেট্রো প্রেসিডেন্ট কাজুশিগে নবুতানি বলেন, পারস্পরিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিষয়টিকে জাপান গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। এর মাধ্যমে উভয় দেশেরই লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
বৈঠকে এফবিসিসিআইর সহসভাপতি আমিন হেলালী, মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, উপদেষ্টা এবং সাবেক পরিচালক আবদুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।