a
});রেলওয়ের ৪২তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। বুধবার থেকে নগরীর রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠে দুই দিনব্যাপী এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। প্রতিবছরের মতো এবারও রেলওয়ে ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ড এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ‘বর্তমানে পুরোদমে চলছে কক্সবাজার রেল প্রকল্পের কাজ। আগামী জুনের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। কোনো কারণে এরমধ্যে কাজ শেষ না হলে সর্বোচ্চ এক থেকে দুই মাস বেশি সময় লাগতে পারে। তাই, আশাকরছি এ বছরের মধ্যেই কক্সবাজারে রেল চলবে।’
সুজন বলেন, ‘কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাটে নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে। সেখানে দুই লেনের রেললাইন এবং চার লেনের সড়কও হবে। এরইমধ্যে এটির নকশা অনুমোদিত হয়েছে। আশাকরছি, আগামী বছর থেকে এর কাজ শুরু হবে। ২০২৭ সালের মধ্যে আমাদের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।’
রেলওয়ের উন্নয়নে সরকার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের রেললাইনগুলো ব্রডগেজে রূপান্তরের কাজ চলছে। লোকবলের ঘাটতিপূরণে নতুন করে জনবলও নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। রেলওয়ের উন্নয়নে নতুন করে ইঞ্জিন, কোচ ও ওয়াগন কেনা হচ্ছে। পাশাপাশি রেলওয়ের কারখানাগুলোও আধুনিকায়নের পরিকল্পনা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব কাজ সম্পন্ন করা হবে।’ এ সময় মন্ত্রী চলতি বছরের জুনে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের নির্মাণকাজও শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ের মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের প্রধান পৃষ্ঠপোষক মো. কামরুল আহসান, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিঞা, রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার, পূর্বাঞ্চলের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী মো. বোরহান উদ্দিন, প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।