a
});এক বছরে রাজশাহীতে প্রায় আড়াইশো নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। একই সময়ে জেলায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ২৬ জন নারী ও শিশু। শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) মানবাধিকার সংস্থা লেডিস অর্গানাইজেশন ফর সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার (লফস) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়।
লফসের তথ্যমতে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৪৫ জন নারী ও শিশু বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এছাড়াও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ছয় শিশু ও ২০ নারীসহ ২৬ জন।
এ বছর ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৪ শিশু ও ১১ নারী, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ১ শিশু ও ১ নারী, ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ৪ শিশু ও ৮ নারীকে। এছাড়াও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৮ শিশু ও ১৩ নারী, শ্লীলতাহানি ঘটেছে আরেক নারীর।
লফস আরও জানায়, গত ১২ মাসে রাজশাহীতে পর্নোগ্রাফির শিকার হয়েছে ১ শিশু ও ২ নারী। হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ২ শিশু ও ৪ নারীকে। আত্মহত্যা করেছে ১৮ শিশু ও ২৮ নারী, আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে ১ শিশু ও ৩ নারী, অপহরণের শিকার হয়েছে ৯ শিশু ও ১ নারী, নির্যাতিত হয়েছে ২৮ শিশু ও ৪৯ নারী এবং পাচারের চেষ্টা করা হয়েছে ৪ শিশুকে। নিখোঁজ হয়েছে ৫ শিশু ও ৩ নারী।
লফসের নির্বাহী পরিচালক শাহানাজ পারভীন বলেন, রাজশাহীতে নারী ও শিশু নির্যাতন পরিস্থিতি বিভিন্ন মাত্রায় অবনতি ঘটছে। যৌতুক ও পরকীয়ার কারণে অধিকাংশ নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। অনেক ক্ষেত্রে বিদেশি কিছু টিভি সিরিয়াল পরকিয়াকে উৎসাহিত করছে। এছাড়া পারিবারিক কলহ ও প্রেমঘটিত কারণে হত্যা-আত্মহত্যা ও অমানবিক নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটছে।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত ঘটনার বাইরেও অনেক ঘটনা ঘটে, যা প্রকাশিত হয় না বা কোনও তথ্য জানা যায় না। তারপরও ২৪৫ জনের নির্যাতনের চিত্র পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতনের কৌশল পরিবর্তন হয়েছে, সেই সাথে ধর্ষণ বাড়ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্তরঙ্গ মুহূর্তগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতাও বাড়ছে। একদিকে যেমন বাল্যবিবাহ বাড়ছে, অপরদিকে সংসার ভাঙার তালিকাও দীর্ঘ হচ্ছে।
অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে ক্রমশই অপরাধীরা উৎসাহিত হবে এবং অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে বলেও মনে করেন এই মানবাধিকার কর্মী।