5
/ 100
দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শনের সময় কক্সবাজারের আইকনিক স্টেশনে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন তিনি।আগামী জুনের মধ্যে দোহাজারী-কক্সবাজার রেল লাইন চালুর কথা জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ট্রেনে কক্সবাজার যাওয়া যাবে আগামী বছর জুনে। এই পথে রেল চালু হলে সারাদেশ থেকে ট্রেন সরাসরি কক্সবাজারে যাবে।মন্ত্রী বলেন, ‘এক সময় এটি স্বপ্ন ছিল, এখন সেটা বাস্তবায়নের পথে। কক্সবাজারবাসী যেমন অপেক্ষায় আছে, তেমনি সারা দেশের মানুষ ট্রেনে করে পর্যটননগরী কক্সবাজার আসার জন্য অপেক্ষায় আছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী বছরের জুনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে।’

কক্সবাজারে চলাচলের জন্য ট্যুরিস্ট কোচের আদলে উন্নত মানের কোচ দ্বারা ট্রেন চালানো হবে। এ জন্য নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ৫৪টি কোচ কেনা হবে। যেগুলোর জানালা সুপ্রশস্ত। মানুষ অনায়াসে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার সুযোগ পাবে বলে মন্ত্রী জানান।
কাজের অবগতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।’
এ সময় রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম নির্মাণাধীন আইকনিক স্টেশন বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন তলা ঘুরে দেখেন। পরে প্রায় ৩০ কিলোমিটার নতুন লাইন পরিদর্শন করেন তিনি।
এ ছাড়া, এরইমধ্যে ৬০ কিলোমিটার রেললাইন সম্পন্ন হয়েছে এবং আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে স্টেশন বিল্ডিংয়ের নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।
এ সময় কক্সবাজারের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) কামরুল আহসান, বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্বাঞ্চল) মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন সহপ্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চট্গ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ করছে সরকার। এ প্রকল্পের আওতায় ৩৯টি সেতু এবং ২৪২টি কালভার্ট করা হচ্ছে। বন্য হাতি চলাচলের জন্য আন্ডারপাস ও ওভারপাস নির্মাণ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মোট ১০০ কিলোমিটার সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মিত হচ্ছে। পুরো প্রকল্পে ৩৯টি মেজর ব্রিজ এবং ২৪২টি কালভার্ট রয়েছে। হাতি চলাচলের জন্য আন্ডারপাস ও ওভাপাস নির্মাণ করা হচ্ছে। রেললাইনটা নির্মিত হলে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপিত হবে।