a
});মঙ্গলবার জরিপ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। ‘হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট সার্ভে ২০২১’ নামের এই প্রতিবেদন বলছে, গত ১১ বছরে সারাদেশের হোটেল ও রেস্তোরাঁয় নতুন ১১ লাখ ৬৮ হাজার কর্মসংস্থান হয়েছে। নতুন এবং পুরোনো মিলে এ খাতে মোট কর্মসংস্থান দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ২০ হাজারে। ২০১০ সাল পর্যন্ত হোটেল-রেস্তোরাঁয় ৯ লাখ ৪ হাজার মানুষ কাজ করতেন। গত জুনে জরিপের প্রাথমিক ফল প্রকাশ করে বিবিএস।গত ১১ বছরে দেশে হোটেল এবং রেস্তোরাঁর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপের ফল অনুযায়ী, দেশে এখন হোটেল-রেস্তোরাঁর সংখ্যা ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৪টি। ২০২১ সাল পর্যন্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই জরিপ পরিচালনা করা হয়। ২০১০ সাল পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৭৫ হাজার ৩২৪টি।নতুন জরিপ অনুযায়ী, মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) হোটেল-রেস্তোরাঁ খাতের অবদান কমে এসেছে। এই হার এখন ১ দশমিক ১০ শতাংশ। এক দশক আগের জরিপে এ হার ছিল ১ দশমিক ৫০ শতাংশ। এই খাতের বার্ষিক মূল্য সংযোজন ২২৩ শতাংশ বেড়ে ৩৮ হাজার ৭০৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এক দশক আগের জরিপে হোটেল-রেস্তোরাঁর মূল্য সংযোজন ছিল ১১ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা।
হোটেল-রেস্তোরাঁ খাতে কত মানুষ কর্মরত আছেন, জিডিপিতে অবদান কেমন ইত্যাদি তথ্য বের করতে প্রতি ১০ বছর পর এই জরিপ চালানো হয়। ২০১০ সালের আগে জরিপগুলো হয়েছিল ১৯৯২-৯৩ এবং ২০০২-০৩ অর্থবছরে।
গত বছর মার্চ ও এপ্রিলে দ্বৈচয়নের ভিত্তিতে দেশব্যাপী এই জরিপ পরিচালনা করা হয়। বিবিএসের ১৫১ জন গণনাকর্মী ও ৮০ জন সুপারভাইজার মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন। জরিপ অনুযায়ী, হোটেল-রেস্তোরাঁ শ্রমিকরা সবাই মিলে বছরে গড়ে ১ লাখ ৫১ হাজার ৭১০ টাকা পারিশ্রমিক পাচ্ছেন। ২০০৯-১০ অর্থবছরের জরিপে এই
পরিমাণ ছিল ৩৯ হাজার ৫৬০ টাকা। আগে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো মোট আয়ের ১০ দশমিক ১৭ শতাংশ শ্রমিকদের পারিশ্রমিক বাবদ ব্যয় করত। সর্বশেষ জরিপে এ হার দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে ২৬ দশমিক ৬৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।