ইকুয়েডর সীমান্তবর্তী এলাকাটি কলম্বিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। স্থানীয় নিম্নবিত্ত মানুষ বেঁচে থাকার প্রয়োজনে এখানে নির্বিচারে গাছ কাটছেন এবং ভুল উপায়ে জমি চাষ করছেন। পরিবেশ ও দীর্ঘমেয়াদি পরিস্থিতির কথা বিবেচনা না করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও বনের গভীরে গিয়ে বন উজাড় করছে এবং বনাঞ্চল ও মাটির যথেচ্ছ ব্যবহার করছে। এমন পরিস্থিতিতে অঞ্চলটিতে ফের বনায়ন এবং বাসিন্দাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রসারিত করতে সামাজিক ব্যবসা মডেলে বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
কলম্বিয়ার অ্যামাজন জঙ্গলের বাসিন্দাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সামাজিক ব্যবসা মডেলে কাজ চলছে। স্থানীয়দের দারিদ্র্য বিমোচন এবং পরিবেশ রক্ষায় অন্তত ৩০টি বিষয়ে কার্যক্রম চলছে সেখানে। গভীর জঙ্গলে এসব কার্যক্রম পরিদর্শনে দু’দিন ধরে সেখানে অবস্থান করেছেন ড. ইউনূস। বুধবার ঢাকায় ইউনূস সেন্টারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।এতে আরও বলা হয়, অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে কয়েকজন সামাজিক ব্যবসা উদ্যোক্তাও সেখানে রয়েছেন। এরই মধ্যে ওই এলাকার ১ লাখ হেক্টর জমিতে ১৮ হাজার গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। নতুন এলাকা সম্প্রসারণ এবং আরও চারা রোপণের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সামাজিক ব্যবসা কর্মসূচিগুলো বহুমুখীকরণ এবং বনায়নের মাধ্যমে এলাকার মানুষের আয়ের সুযোগ সৃষ্টি, মধু, ফল ও অন্যান্য বনজ পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, বিপণন ও আর্থিক সেবা নিশ্চিতে জানতে এবং নিজের মতামত দিতেই ড. ইউনূসের এ সফর।