a
});ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণে ব্যাংকগুলোকে উৎসাহ দিতে ২০২০ সালের জুলাইয়ে ২ হাজার কোটি টাকার ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর বিপরীতে ৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ঋণের গ্যারান্টি দেওয়া যাবে। এর আওতায় বিতরণ করা কোনো ঋণ খেলাপি হলে তার ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তহবিল থেকে সংশ্নিষ্ট ব্যাংককে দেওয়া হবে। তবে স্কিমের আওতায় বিতরণ করা ঋণের বিপরীতে গ্রাহককে নির্ধারিত সুদহারের অতিরিক্ত ১ শতাংশ হারে পরিশোধ করতে হবে।
আবার যথাসময়ে অর্থ আদায় না হলে দ্বিতীয় বছর থেকে যতদিন ওই ঋণ অনাদায়ি থাকবে, ততদিন ব্যাংকগুলোকে নির্ধারিত হারে এ তহবিলে টাকা দিতে হবে।ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক ২ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করলেও এখন পর্যন্ত বিতরণ হয়েছে মাত্র ১৯২ কোটি টাকা, যা অত্যন্ত হতাশাজনক। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফারাহ মো. নাসের এমন মন্তব্য করেছেন। শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘সিএমএসএমইদের অর্থায়নে প্রতিবন্ধকতা এবং সম্ভাবনা’ শীর্ষক কর্মশালার প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি। ঢাকা চেম্বারের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, উদ্যোক্তা উন্নয়ন, বড় শিল্প খাতকে সহযোগিতা এবং সার্বিকভাবে অর্থনীতির চাকাকে সচল করতে এসএমই খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে আর্থিক এবং নীতি সহয়তার অভাবে এ খাতের দক্ষতা ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। তিনি উল্লেখ করেন, প্রয়োজনীয় ব্যবসায়িক নথিপত্রের ব্যবস্থাপনার অভাবে দেশের সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তারা প্রায়ই ব্যাংকের ঋণ থেকে বঞ্চিত হন। এ অবস্থায় তাদের প্রযুক্তিগত, কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা একান্ত জরুরি।ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আরও বলেন, কভিড মহামারি-পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আরোপিত নানাবিধ অবরোধের কারণে গোটা পৃথিবীর সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাকে প্রচণ্ডভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যার প্রভাব পড়েছে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে। তিনি জানান, ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় ঋণ প্রাপ্তির হার বাড়াতে ব্যাংকগুলোকে আরও সক্রিয় হওয়ার পাশাপাশি এ খাতের উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম আরও প্রতিষ্ঠানিকীকরণ করার ওপর জোর দেন।