প্যাকেজিং, প্রিন্টিং এবং প্রকাশনা খাতের সম্ভাবনা নিয়ে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কমিটির সদস্য সুচয় আমিন।বিশ্বব্যাপী প্যাকেজিং, প্রিন্টিং ও পাবলিকেশন খাতের বড় রপ্তানি বাজার ধরতে সরকারের নীতিসহায়তা চেয়েছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রিন্টিং, প্যাকেজিং অ্যান্ড পাবলিকেশন বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় তাঁরা এ খাতের নানা সম্ভাবনা তুলে ধরে সরকারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা চান।প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্যাকেজিংয়ের ব্যবহার বাড়ছে। ভবিষ্যতে আরও বাড়বে। ইউরোপ-আমেরিকায় প্রায় ৮০ শতাংশ খাদ্যই প্রক্রিয়াজাত। দেশেও এর পরিমাণ ২০ শতাংশের কাছাকাছি। এর মাধ্যমেই এ খাতের ব্যাপক সম্ভাবনা স্পষ্ট। বাজার ধরতে সরকারি সহায়তার পাশাপাশি রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ, কমপ্লায়েন্সসহ আন্তর্জাতিক মানের পণ্য তৈরি করতে ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান তিনি।এফবিসিসিআইর সহসভাপতি আমিন হেলালী বলেন, প্যাকেজিং শিল্পের প্রসার ও বিপুল রপ্তানি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সরকারের নীতিসহায়তাসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় থাকা দরকার।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রিন্টিং প্যাকেজিং খাতের আন্তর্জাতিক বাজার ধরতে এ খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন। সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান সাইফুস সামি আলমগীর।
সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের উপপ্রধান মো. মাহমুদুল হাসান, এফবিসিসিআইর সহসভাপতি সালাউদ্দিন আলমগীর, পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, বিজয় কুমার কেজরিওয়াল, হাফেজ হারুন প্রমুখ।