বিশিষ্ট আইনজ্ঞ রফিক-উল হকের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।ব্যারিস্টার রফিক-উল হক রাজনীতিতে না জড়িয়েও দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তিনি আইন অঙ্গনেরও উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন।রফিক-উল হক স্মরণে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলানায়তনে আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশন এ সভার আয়োজন করে। ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. শেখ মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এএফ হাসান আরিফ, বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ডায়বেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. একে আজাদ খান, সুপ্রিমকোর্ট বারের সভাপতি মমতাজউদ্দিন ফকির, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম, আইনজীবী জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মিজান সাঈদ, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ, আদ-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের চেয়ারম্যান ডা. মুহম্ম আব্দুস সবুর প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক আমিরুল মোমেনীন মানিক।
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক আইন পেশাকে সমাদৃত করেছেন। তিনি কখনোই আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেননি। অসংখ্য হাসপাতাল, দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করে ফশফন সমাজে অবদান রেখে গেছেন। কেবল অর্থ উপার্জন করলেই মানুষ সুখী হয় না, তাই যদি হতো তাহলে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী লোক বেশি সুখী হতো।
সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, রফিক-উল হক ছিলেন সত্যিকার দেশপ্রেমিক, মানবদরদী ও সমাজসেবক। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও বিচার বিভাগের মর্যাদা রক্ষায় তিনি জোরালো ভুমিকা রেখেছেন।
আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, রফিক-উল হকের জীবনের ভালো দিকগুলো আমাদের অনুসরন করতে হবে।
ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর রাজধানীর আদ্-দ্বীন হাসপাতালে চিকিসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।