a
});এলডিসি থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ সংক্রান্ত এক সভায় এ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে নিজস্ব ভবনে এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট (বিএফটিআই)।স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) কাতার থেকে উত্তরণের পর রপ্তানি বাণিজ্যে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এখনকার মতো শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া যাবে না তখন। অন্যদিকে রপ্তানিমুখী পণ্য উৎপাদনে নগদ সহায়তা বন্ধ করতে হবে। আমদানি পর্যায়ে শুল্কও কমাতে হবে। এ রকম বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। সরকারি এবং বেসরকারি খাতকে এ জন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাণিজ্য সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ এবং উত্তরণে খাতভিত্তিক রোডম্যাপ বিষয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সহায়তায় বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের পক্ষে বিএফটিআই গবেষণা সংক্রান্ত কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে তৈরি পোশাক, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, কৃষিপণ্য ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, মৎস্য ও পশুসম্পদ- এই চার খাতের রোডম্যাপ তৈরির লক্ষ্যে এই অংশীজন পরামর্শ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। তিনি বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাণিজ্য উন্নয়ন, পণ্য ও রপ্তানি বহুমুখীকরণ ছাড়া হাতে আর কোনো বিকল্প নেই। পণ্যের মান উন্নয়ন এবং বহুমুখী পণ্য উৎপাদনে শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়ানো প্রয়োজন। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে তাদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কর্ম পরিবেশের উন্নতির প্রতিও বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। সরকারি-বেসরকারি অংশিদারিত্ব ছাড়া এসব কাজ সমাধান করা সম্ভব নয়।
বিএফটিআইর নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জাফর উদ্দীন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও উইংয়ের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, বিজিএমইএর পরিচালক আসিফ আশরাফ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৬ সালে এ প্রক্রিয়া পুরোপুরি শেষ হবে। এর পর রপ্তানিতে এখনকার মতো শুল্ক্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া যাবে না। এলডিসি-বহির্ভূত অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যেও নিয়মিত শুল্ক্ক আরোপিত হবে। এতে রপ্তানি আয় অন্তত ৮০০ কোটি ডলার পর্যন্ত কমে যেতে পারে বলে বিভিন্ন গবেষণায় বলা হচ্ছে। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও তিন বছর শুল্কমুক্ত সুবিধা অব্যাহত থাকবে।