a
});সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাফেদার বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল ও কাজী ছাইদুর রহমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। ব্যাংকগুলোর পক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেন, বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের এমডি আফজাল করিম, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। আইএমএফ প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফরের মধ্যে সোমবার হঠাৎ করেই এ বৈঠক ডাকা হয় বলে জানা গেছে।
এদিকে সোমবার অর্থমন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর একেএম সাজেদুর রহমান ও আবু ফরাহ মো. নাছেরের সঙ্গে বৈঠক করেছে ঢাকা সফরত আইএমএফ প্রতিনিধি দল। বৈঠকে খেলাপি ঋণ কম দেখাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাম্প্রতিক বিভিন্ন ছাড় নিয়ে প্রশ্ন তুলে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, করোনা মহামারির প্রভাব মোকাবেলা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরবর্তী বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে সাময়িকভাবে কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে উৎপাদন ও কর্মসংস্থানমুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। খেলাপি ঋণ পুনঃতপশিলের সর্বশেষ সার্কুলারের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে ক্ষমতায়ন করা হয়েছে। এছাড়া বৈঠকে রাষ্ট্রীয় মালিকানার ব্যাংক, খারাপ অবস্থায় থাকা যে ১০টি ব্যাংককে আলাদাভাবে তদারকির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এসব নিয়ে আলোচনা হয়।
সূত্র জানিয়েছে, ব্যাংকগুলো বর্তমানে এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে ডলার কেনায় ১০৭ টাকা দিলেও সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠালে দিচ্ছে রপ্তানি বিল নগদায়নের আদলে ৯৯টাকা ৫০ পয়সা। এতে করে ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ পাঠাতে অনেকে নিরুৎসাহিত হচ্ছে। এরকম বাস্তবতায় উভয় ক্ষেত্রে ডলারের অভিন্ন দর দিতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউস নির্ভরতা কমিয়ে সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স আহারণ উৎসাহিত করতে দেশের বাইরে নিজস্ব এক্সচেঞ্জ হাউস বাড়াতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ডলার সঙ্কটের এ সময়ে আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে রেমিট্যান্স উদ্বুদ্ধ করতে কোনো ধরনের চার্জ না নিতে বলা হয়েছে। ব্যাংকগুলো এসব সিদ্ধান্ত কার্যকরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
জানা গেছে, বৈঠকে বলা হয়-ডলার সঙ্কটের কারণে অনেক ব্যাংক এলসি খুলতে পারছে না। সঙ্কট মেটাতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ডলার সহায়তার অনুরোধ জানিয়ে আসছে ব্যাংকগুলো। সোমবারের বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে- নিজস্ব উৎস থেকে ডলার সংস্থান করেই কেবল এলসি খুলতে হবে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বর্তমান বাস্তবতায় সামগ্রিকভাবে কোনো সহায়তা দেওয়া হবে না। কেবল মাত্র সরকারি জরুরি পণ্য আমদানিতে ডলার দেওয়া হবে।