সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে আইএমএফ প্রতিনিধি দল। বৈঠকে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, সঞ্চয়পত্রের সুদ বাবদ প্রতিবছর সরকারকে বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। সরকারের এই ব্যয় কমিয়ে আনতে সুদহার কমিয়ে আনা দরকার। প্রায় সাত বছর আগে সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানো হয়।
বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে সর্বোচ্চ সুদহার ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ। সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য তা খানিকটা বেশি। সর্বনিম্ন সুদহার ৯ শতাংশের মতো। সাম্প্রতিক সময়ে নানা কারণে সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে কিছুটা কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানোর পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ব্যয় কমানো ও সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করার অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে সংস্থাটি। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের সুদহার পুনর্নির্ধারণের পাশাপাশি বেঁধে দেওয়া হয় বিনিয়োগের পরিমাণও। এতে সুদ ব্যয় বাবদ প্রতিবছর সরকারের তিন হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। সুদহার আরও কমানো হলে আরও বেশি সাশ্রয় হবে বলে মনে করছে আইএমএফ। নানা শর্ত আরোপ এবং মূল্যস্ম্ফীতির হার বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি সঞ্চয়পত্রের বিক্রি কমে এসেছে। গত জুলাই মাসে ব্যালেন্স অব পেমেন্ট, বাজেট সহায়তা ও অবকাঠামো খাতের জন্য ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চেয়ে আইএমএফের কাছে চিঠি পাঠায় সরকার। এ ঋণের বিষয়ে আলোচনা করতেই আইএমএফের দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল ঢাকা সফরে এসেছে।