বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) নিজস্ব মিলনায়তনে এই সভার আয়োজন করে। সংস্থার মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন এতে সভাপতিত্ব করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের দারিদ্র্য ও সমতাবিষয়ক জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. আয়াগো ওয়াম্বাইল। প্রবন্ধের ওপর পর্যালোচনা তুলে ধরেন বিআইডিএসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. কাজী ইকবাল।অতিমারি করোনার অভিঘাত থেকে শিক্ষা নিয়ে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অবকাঠামো খাতে আরও মনোযোগ বাড়াতে হবে।
সংশ্নিষ্ট সেবা এবং অবকাঠামো উন্নয়নে এখনই নজরের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ‘বাংলাদেশে কডিড-১৯ অতিমারির আর্থসামাজিক প্রভাব এবং নীতি প্রতিক্রিয়া :আগামীর শিক্ষা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেছেন তাঁরা।প্রবন্ধে বলা হয়, করোনার সময় পরিবারের সব সদস্যদের বিশেষ করে শিশু ও প্রবীণদের দেখাশোনার দায়িত্ব নিতে গিয়ে চাকরি হারিয়েছেন কর্মজীবী নারীদের ৩৪ শতাংশ। এসব নারী পরবর্তী সময়ে তাঁদের চাকরি ফিরে পাননি। এ সময় সমাজের দরিদ্রদের ওপর অভিঘাত পড়েছে বেশি। নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন অনেকে। বেশিরভাগের আয় কমে গেছে। শ্রমবাজারে ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী মানুষের অংশগ্রহণ কমে ৫১ শতাংশ থেকে নেমে ৪৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। করোনার দুই ধাপে বেকারত্ব বেড়ে ৯ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশে ঠেকেছে।এতে আরও বলা হয়, করোনার সময় দেশে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে। খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা আরও বেড়েছে। খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার পাশাপাশি মানুষ বাসা ভাড়া দিতেও হিমশিম খেয়েছে। বিশেষ করে বস্তি এলাকার মানুষ বাসস্থানের নিরাপত্তাহীনতায় ছিলেন সবচেয়ে বেশি। চট্টগ্রামের তুলনায় ঢাকায় এ পরিস্থিতি বেশি নাজুক ছিল। সরকারকে এখনই পরিবেশের দিকে নজর দিতে হবে। আর্থিক সংকট ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার সংকট মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিতে হবে। অবকাঠামো উন্নয়নেও নজর দিতে হবে।