উপজেলার হাবিবপুর গ্রামের বেগুন চাষি মেহেদী ইসলাম বলেন, আমরা পলি অঞ্চলের মানুষ। আমরা সারা বছর সবজি চাষ করি। আমার চার বিঘা জমি আছে, দুই বিঘাতে সারা বছর সব ধরনের সবজি চাষ করি। বাকি দুই বিঘাতে সবজির পাশাপাশি বোরো এবং আমন ধান চাষ করে আসছি। এক বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করেছি। গাছ প্রায় বড় হয়ে গেছে, পরিচর্যার কাজ চলছে। আশা করছি আগামী মাস থেকে বাজারজাত করতে পারবো।বিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন সবজির মাঠ ঘুরে দেখা যায়, গত এক মাস আগে গোবর সার এবং প্রায় দেড় মণ বিভিন্ন রাসায়নিক সার দিয়ে জমি তৈরি করে বেগুন বীজ বোপন করেছেন কৃষকেরা। বিঘাপ্রতি ৫০ গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয়। আশ্বিন মাসের শুরুতেই বীজ বোপন করা হয়েছে। অগ্রহায়ণ মাস থেকে গাছ থেকে বেগুন তুলে বাজারজাত করবেন বেগুন চাষিরা। বিঘাপ্রতি খরচ হয় ২০ হাজার টাকা। ভালো ফলন হলে সপ্তাহে ১০ থেকে ১৫ মণ বেগুন উঠবে ক্ষেত থেকে। ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বিক্রি হবে বেগুন।
আশ্বিন পেরিয়ে চলছে কার্তিক মাস। শীতকালীন বেগুন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন দিনাজপুরের বিরামপুরে কৃষকেরা। সারা বছর কম-বেশি বেগুন চাষ হলেও শীত মৌসুমে বেগুনের ফলন অনেক ভালো হয়। ভালো ফলন ও বেশি দাম পাওয়ার আশায় বেগুন ক্ষেত পরির্যায় ব্যস্ত চাষিরা।
মুন্সিপাড়া গ্রামের কৃষক আউলাদ হোসেন বলেন, ১০ কাঠা জমিতে আমি সারা বছর বেগুনের চাষ করি। বাজারে বেগুনের দাম অনেক ভালো পেয়েছি। নতুন করে আবার বেগুন চাষ করছি, গাছে ফুল আসতে শুরু করেছে। ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে বেগুন উঠে যাবে।
বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নিক্সোন চন্দ্র পাল বলেন, বিরামপুর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের মাটি পলি। তাই এসব অঞ্চলে রবিশস্যের ফলন ভালো হয়। সারা বছর বেগুন চাষ হয়ে থাকে। উপজেলায় মোট ২০ হেক্টর জমিতে বেগুন চাষ করছেন কৃষক। আমরা কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতাসহ পরামর্শ দিয়ে আসছি।