অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। প্রকল্প দুটির মধ্যে রাজশাহী ওয়াসার জন্য থাকবে ২৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার। আর ১৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার যাবে বিপিসির জাহাজ কেনা বাবদ। প্রকল্পের আওতায় রাজশাহী ওয়াসার শহরের সরবরাহ এবং পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করা হবে। অন্যদিকে বৈদেশিক বাণিজ্যে পণ্য পরিবহনে ছয়টি জাহাজ সংগ্রহ করবে বিএসসি। আরও দুই প্রকল্পে ৪৬ কোটি ডলার অর্থের জোগান দেবে চীন। রাজশাহী ওয়াসার একটি প্রকল্পে এবং বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনকে (বিএসসি) ছয়টি জাহাজ সংগ্রহে এই ঋণ দেওয়া হবে। প্রকল্প দুটির পর্যালোচনা এবং চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এসব কাজ শেষে চীনা এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে ঋণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জানা গেছে, নতুন করে আরও দুই প্রকল্প বাস্তবায়নে ঋণ সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে সম্মতি জানালেও প্রায় দুই বছর আগে ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্পে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতির পরও এখনও কোনো অর্থছাড় করেনি চীনা এক্সিম ব্যাংক। অর্থ সংকটে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন বিঘ্নিত হচ্ছে।
এছাড়া ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফরের সময় ২৭ প্রকল্প বাস্তবায়নে ২১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়া হবে মর্মে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) সই হয়। এ পর্যন্ত ৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার ছাড় করেছে চীন। এ অর্থ সহায়তায় ৮টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
সর্বশেষ গত বছরের অক্টোবরে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ১১৩ কোটি ডলারের ঋণ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে চীন। বাকি ১৯টি প্রকল্প এখনও অর্থ সংকটে অবাস্তবায়িতই রয়ে গেছে। প্রতিশ্রুত এই অর্থছাড় করার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চীনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা এ নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে চীনা কর্তৃপক্ষকে নিয়মিতভাবে অনুরোধ করে আসছে।
বাংলাদেশের অন্যতম দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগী চীন। এ পর্যন্ত ৭৮০ কোটি ডলার ঋণ নিশ্চিত করেছে দেশটি। চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট পর্যন্ত গত দুই মাসে ১৮ কোটি ৭২ লাখ ডলার ঋণের অর্থছাড় করেছে।