a
});অনুরোধপত্রে বলা হয়েছে, মোংলা বন্দরে দুটি এলপিজি প্লান্টের মধ্যবর্তী স্থানে স্থায়ী যাত্রী পরিবহন ঘাট স্থাপন মোংলা বন্দর এবং বন্দর-সংলগ্ন স্থাপিত সব এলপিজি স্থাপনার জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিভিন্ন এলপিজি স্থাপনার মধ্যে অনিয়ন্ত্রিত যাত্রী পরিবহন ঘাট এলপিজি প্লান্টের নিরাপত্তায় যেমন হুমকি তৈরি করবে, তেমনি মোংলা বন্দরের জন্যও নিরাপদ নয়।
এ ছাড়া এলপিজি পরিবহনকারী বিদেশি জাহাজও এ ধরনের যাত্রী পরিবহন ঘাট নির্মাণে আপত্তি উত্থাপন করতে পারে। এ ছাড়া ঘাট নির্মাণের কারণে সংলগ্ন জেটির তথা নদীর নাব্য কমে যাবে।মোংলা বন্দর-সংলগ্ন এলাকায় দুটি এলপিজি প্লান্টের মধ্যবর্তী স্থানে যাত্রী পরিবহন ঘাট নির্মাণে আপত্তি জানিয়েছে এলপিজি অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এলওএবি)। এলওএবি এই ঘাট অন্যত্র নির্মাণের অনুরোধ জানিয়ে গত মঙ্গলবার নৌ-পরিবহন মন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে। এর আগে গত ৩০ আগস্টও একই অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল এলপিজি অপারেটরদের সমিতি। বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি ‘লাওডোব’ নামে এ ঘাট নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় তারা আবারও এ বিষয়ে অনুরোধ জানাল। চিঠিতে এলওএবি জানায়, এ বিষয়ে আগে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি গত ৪ সেপ্টেম্বর নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ বিষয়ে উদ্বেগ এবং এর সম্ভাব্য ক্ষতির বিষয় অবহিত করেন। এর পর ঘাট স্থাপনের কাজ বন্ধ হয়। এতে তারা আশান্বিত বোধ করেন। কিন্তু হঠাৎ করে অজ্ঞাত কারণে গত ১৬ অক্টোবর থেকে পুনরায় ঘাট স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রীকে লেখা সমিতির আগের চিঠিতে জানানো হয়, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং মোংলা বন্দরের সহযোগিতায় বেশ কয়েকটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান বন্দর এলকায় স্থাপনা নির্মাণ করেছে। এসব স্থাপনা অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং প্রতিটি স্থাপনা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড এবং বন্দরের বিভিন্ন অনুশাসন মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এসব স্থাপনায় অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক হুমকি থেকে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়া বন্দরের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আবশ্যকীয়।