অধিকাংশ শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে না থাকলে সূচকের আরও পতন হতো। বাজার মূলধনের দিক থেকে ওপরের দিকে থাকা যেসব শেয়ারের দর ফ্লোর প্রাইসের ওপরে অবস্থান করছে, সেগুলোর দর কমে যাওয়া সূচকের পতনে বড় ভূমিকা রেখেছে।আবারও শেয়াবাজারের মূল্য সূচকে বড় পতন হয়েছে। গতকাল সোমবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৫ পয়েন্ট হারিয়ে ৬৪১৩ পয়েন্টে নেমেছে। সূচক পতনের হার ১ শতাংশের বেশি। গত ৩১ জুলাই সব শেয়ারের দরে ফ্লোর প্রাইস আরোপের পর গতকালসহ এ নিয়ে তিন দিন সূচকের পতন ১ শতাংশ ছাড়াল।ফ্লোর প্রাইস আরোপের পর গত আড়াই মাসের মধ্যে গত ১০ অক্টোবর সবচেয়ে বড় দর পতন হয়। ওই দিন সূচক হারিয়েছিল প্রায় ১২০ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এর আগে গত ১০ আগস্ট সূচকে ১ শতাংশের বেশি পতন হয়েছিল।
গতকাল তালিকাভুক্ত ৩৮৭ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩৬১টির লেনদেন হয়। লেনদেন শেষে ফ্লোর প্রাইসে থাকা বা পুনরায় নেমে আসা শেয়ার সংখ্যা বেড়ে ২৩৮টিতে উন্নীত হয়েছে, যা মোটের ৬১ শতাংশ। দ্বিতীয় দফায় ফ্লোর প্রাইস আরোপের পর যা সর্বোচ্চ। রোববার লেনদেন শেষে ফ্লোর প্রাইসে থাকা শেয়ার ছিল ২০৬টি। এর আগে সর্বোচ্চ ২২৮টি শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে ছিল গত ১১ অক্টোবর।
ডিএসইতে গতকাল ২৬ শেয়ারের দরবৃদ্ধির বিপরীতে ১৫৩টির দর কমেছে। অপরিবর্তিত ছিল ১৮২টির দর। বীমা, বস্ত্র, সিরামিক, তথ্যপ্রযুক্তি, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, সেবা ও নির্মাণ, পাট, ভ্রমণ ও অবকাশ এবং বিবিধ খাতে বড় দরপতন হয়েছে।
গতকাল ডিএসইতে অন্তত ৩৪ কোম্পানির শেয়ারদর ৫ থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ১৪ শতাংশ কমেছে। লভ্যাংশ ঘোষণার পর এপেক্স ফুড ও ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইংয়ের দরপতন হয়েছে সর্বাধিক। আলোচিত শেয়ারের মধ্যে বিডিকম, সী পার্ল, জেএমআই সিরিঞ্জেস, শমরিতা হাসপাতাল, জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট, কহিনূর কেমিক্যাল, কপারটেক, বেক্সিমকো লিমিটেডসহ অনেক শেয়ারের দর কমেছে।
বড় খাতের মধ্যে বীমা ও বস্ত্রের দরপতন হয়েছে সবচেয়ে বেশি। বীমা খাতের তালিকাভুক্ত শেয়ার এখন ৫৪টি, এর মধ্যে ফ্লোর প্রাইসে নেমেছে ৩৭টি। বস্ত্র খাতের কোম্পানি ৫৮টি, যার ৪৪টি গতকাল লেনদেন শেষে ফ্লোর প্রাইসে পড়ে ছিল।