রাজধানীর জুরাইনের মুরাদপুর থেকে পোস্তগোলা শ্মশানঘাট পর্যন্ত বের করা হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এরপর তুরাগ তীর পর্যন্ত শোভাযাত্রা হয় ট্রলারযোগে। বিকেলে উত্তরায় বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে ছিল আয়োজনের দ্বিতীয় পর্ব। উদ্বোধনী নৃত্য ‘এসো হে সুন্দর সমারোহে’, নাটক ‘যুদ্ধ যুদ্ধ’র মঞ্চায়নসহ নানা সাংস্কৃৃতিক আয়োজন দর্শকদের মুগ্ধ করে। মাসব্যাপী এ আয়োজন শেষ হবে ২০ নভেম্বর।
এতে থাকবে খেয়ালী নাট্যগোষ্ঠী ও গীতাঞ্জলী একাডেমির সদস্যদের অংশগ্রহণে নানা পরিবেশনা।বুড়িগঙ্গা ও তুরাগে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ‘সংস্কৃৃতির হাত ধরে মূল্যবোধ আসুক ফিরে’ স্লোগানে মাসব্যাপী সাংস্কৃৃতিক কর্মসূচির আয়োজন করেছে খেয়ালী নাট্যগোষ্ঠী। শুক্রবার এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ঢাকা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সেক্রেটারি জেনারেল (ভারপ্রাপ্ত) চন্দন রেজা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমীন এবং থিয়েটার অঙ্গনের সভাপতি মাহাবুব আমিন মিঠু।খেয়ালী নাট্যগোষ্ঠীর সম্পাদক শাহিন আহমেদ বলেন, ‘নানা কারণে আজ মূল্যবোধ হারিয়ে আমরা ডুবেছি অমানবিকতার গাঢ় অন্ধকারে। ভোগবাদিতা গ্রাস করেছে। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও মানবীয় গুণে ঘাটতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। ক্রমেই ফিরে যাচ্ছি বর্বরতার যুগে। হারিয়ে যাওয়া মূল্যবোধ পুনরুদ্ধারে খেয়ালী নাট্যগোষ্ঠী অস্ত্র ও ক্ষমতার দম্ভ নয়, সংস্কৃতির হাতিয়ারকে কাজে লাগাতে চায়; সে লক্ষ্যেই এই কর্মসূচি।’ সবার স্বতঃস্ম্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বোধনী আয়োজন সফল হয়েছে বলেও জানান শাহিন আহমেদ।