সংশ্নিষ্টরা জানান, বেশিরভাগ পণ্যের দর বৃদ্ধির প্রভাব সরকারি কেনাকাটায়ও পড়েছে। তবে আয় সে হারে বাড়ছে না। আবার ব্যাংকের বাইরে সঞ্চয়পত্র থেকেও সেভাবে ঋণ পাচ্ছে না সরকার। যে কারণে ব্যয় সংকোচন নীতির মধ্যেও ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ বাড়ছে।ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ হঠাৎ বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণ গত অর্থবছরের তুলনায় বেড়েছে ১৬ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা। গত ৩০ আগস্ট পর্যন্ত যেখানে ৩ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা কম ছিল।
এর মানে সরকারের ঋণ ওই পরিমাণ ঋণাত্মক ছিল। আমদানি এবং সুদ পরিশোধসহ বিভিন্ন খাতে সরকারের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ঋণ গ্রহণ সম্প্রতি বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।চলতি অর্থবছর সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও প্রথম দুই মাসে পেয়েছে মাত্র ৪০১ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে আগস্ট পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রে সরকারের ঋণস্থিতি দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৪১১ কোটি টাকা। আর ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণস্থিতি রয়েছে ২ লাখ ৮৬ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা। এ ঋণের বিপরীতে সরকারের প্রচুর সুদ ব্যয় হচ্ছে।চলতি অর্থবছরে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণের প্রায় সবই বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। গত ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ২১ হাজার ২৪ কোটি টাকা নিয়েছে সরকার। একই সময়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকে গত অর্থবছরের তুলনায় ঋণ কমেছে ৪ হাজার ২৮৪ কোটি টাকা।