আড়তটির ম্যানেজারের ও আমদানিকারক বলেন, প্রতি বছর দুর্গাপূজা ও ঈদের সময় লম্বা ছুটির কারণে স্থলবন্দরে আমদানি বাণিজ্য বন্ধ থাকে। সেই সময় পেঁয়াজের চাহিদা থাকায় আমরা তুলনামূলক বেশি আমদানি করে থাকি। এবারও দুর্গাপূজার ছুটির আগে পেঁয়াজ আমদানি করেছিলাম। সাধারণত বন্দর থেকেই বিক্রি হয়ে থাকে। তবে এবার আমাদের বিপাকে পড়তে হয়, সে সময় বৃষ্টির কারণে বন্দর থেকে পেঁয়াজগুলো বিক্রি না হলে গুদামে এনে রাখা হয়। পরবর্তীতে ক্রেতার সংকটে পেঁয়াজগুলো বিক্রি হয়নি।
প্রতিকূল আবহাওয়া ও লোডশেডিংয়ের ফলে সমস্যা গুরুতর হয়ে পেঁয়াজের বস্তায় পচন ধরেছে। অর্ধপচাগুলো বস্তা ধরে বিক্রি করছি দেড় থেকে দুইশ টাকায়।প্রতিদিন ভোর থেকেই পেঁয়াজের আড়তগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ব্যস্ততা লক্ষ্য করা গেলেও বর্তমান চিত্র একটু ভিন্ন। ক্রেতা না থাকলেও বেশ ব্যস্ত আড়তের শ্রমিকরা। গুদামের পচা পেঁয়াজ মেঝেতে ঢেলে বাছাইয়ের কাজ করছেন তারা। ভালো পেঁয়াজগুলো আলাদা করে ফ্যানের বাতাসে শুকাচ্ছেন। অর্ধ পচাগুলো বস্তায় ভরে কম দামে বিক্রি করছেন। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে হিলি স্থলবন্দর এলাকার সসতা বাণিজ্যালয় পেঁয়াজের আড়তের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় চোখে পড়ে আড়তের বেহাল দৃশ্য।