সাধারণত মাঝ-সেপ্টেম্বর থেকে কমতে থাকে ডেঙ্গুর প্রকোপ। তবে এবার অক্টোবরে এসেও জেঁকে বসেছে। পহেলা অক্টোবর ছিল মৌসুমের সর্বোচ্চ রোগী। গত পাঁচ দিনের তিন দিনেই রোগী ছিল পাঁচশর বেশি। এই দফায় শরীরে র্যাশ কিছুটা কম থাকলেও তীব্র মাথাব্যথা আর শরীর ব্যথা দেখা দিচ্ছে আক্রান্ত রোগীর।চিকিৎসকরা বলছেন, রোগীর ক্ষেত্রে চতুর্থ দিনেই কমছে রোগীর প্লাটিলেট। আবার হঠাৎ করেই নেমে আসছে ৩০ হাজারের নিচে। সে ক্ষেত্রে জ্বর হলেই নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ।
হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ইদানীং ডায়রিয়া বা বমি হওয়াটা অনেক কমে এসেছে। এ ছাড়া র্যাশ হওয়াটাও কমেছে। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই অর্থাৎ প্রথম ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যেই প্লাটিলেট কমে যাচ্ছে।
হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. দীপি বড়ুয়া বলেন, জ্বর হলে একেবারে অবহেলা করা যাবে না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।তবে প্লাটিলেট কমলেও গাইডলাইন মেনে চিকিৎসা দিলে ভয়ের কিছু নেই, বলছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
চলতি বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা প্রায় সতেরো হাজার; আর মৃত্যুর সংখ্যা ৫৬।