a
});রিজওয়ান রাহমান বলেন, বর্তমানে তুরস্কের বাজারে বাংলাদেশের ৭৯ শতাংশ পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার রয়েছে। তবে সিরামিক ও তৈরি পোশাকের ওপর যথাক্রমে ১৯ ও ১৭ শতাংশ হারে শুল্কারোপ রয়েছে। প্রধান পণ্যের ওপর এই শুল্কারোপের কারণে তুরস্কে বাংলাদেশের রপ্তানি এখনো আশানুরূপ নয়।তুরস্কে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানিতে শুল্ক কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমান। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রী ড. মেহমুদ মুসের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানান।
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় গত রোববার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা চেম্বারের এক বিজ্ঞপ্তিতে আজ মঙ্গলবার এই তথ্য জানানো হয়।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রসঙ্গে ঢাকা চেম্বার সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৯০ কোটি ডলার। সম্ভাবনার চেয়ে যা অত্যন্ত কম। ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত শুল্ক বাধা দূর করার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২০০ কোটি ডলারের উন্নীত করা সম্ভব। এ উদ্দেশ্যে বিটুবি ম্যাচ-মেকিং, পণ্য প্রদর্শনী, সেমিনার, আলোচনা সভা ও যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠক করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
বাংলাদেশ থেকে আমদানি আরও বাড়ানো এবং ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও ২৮টি হাইটেক পার্কে বিনিয়োগের সুযোগ কাজে লাগাতে তুরস্কের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান ডিসিসিআই সভাপতি।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বাড়াতে দুই দেশের সরকারি ও বেসরকারিখাতে যোগাযোগ আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ডি-৮ এর আরও কার্যকর ভূমিকা পালনে বাংলাদেশ এবং তুরস্ক একযোগে কাজ করতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
বৈঠকে তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও উন্নয়নে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশকে একটি উৎকৃষ্ট বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তুরস্কের বেশকিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং বিনিয়োগ সম্প্রসারণ করেছে। এ সাফল্য আরও প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করবে।