রেপো বা পুনঃক্রয় চুক্তির মাধ্যমে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার নিয়ে থাকে। ব্যাংকের কেনা সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ড জমা রেখে স্বল্প সময়ের জন্য এই ধার দেওয়া হয়। একইভাবে বাজার থেকে টাকা তোলার প্রয়োজন হলে রিভার্স রেপো বা বিপরীত পুনঃক্রয় চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা তুলে নেয়। রেপোর পাশাপাশি স্পেশাল রেপোর মাধ্যমেও ব্যাংকগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে ধার দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এখানে সুদহার বাড়িয়ে ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ করা হয়েছে।ব্যাংক ঋণে সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা ৯ শতাংশে অপরিবর্তিত রেখে বারবার নীতি সুদহার বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বৃহস্পতিবার বাড়ানো হয়েছে বেসিস পয়েন্ট ২৫ শতাংশ। এ নিয়ে গত চার মাসে তিন দফায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলো ধার নিতে ব্যবহারিত ‘রেপো’র সুদহার এক শতাংশ বাড়িয়ে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ করল। অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, ২৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত মুদ্রানীতি কমিটির সভার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের ওভারনাইট রেপো সুদহার বেসিস পয়েন্ট ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো। তবে রিভার্স রেপো তথা ব্যাংকগুলো থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক টাকা তোলার সুদহার বিদ্যমান ৪ শতাংশে অপরিবর্তিত থাকবে। আগামী রোববার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
চলতি বছরের মে মাসের আগ পর্যন্ত রেপোর সুদহার ছিল ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ। গত ২৯ মে এক নির্দেশনার মাধ্যমে বেসিস পয়েন্ট শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়ানো হয়। এরপর ৩০ জুন আবার বেসিস পয়েন্ট ৫০ শতাংশ বাড়িয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ দফায় বেসিস পয়েন্ট বাড়লো ২৫ শতাংশ।
২০২০ সালে করোনাভাইরাসের প্রভাব শুরুর আগে অবশ্য রেপোর সুদহার ছিল ৬ শতাংশ। তিন দফায় ১ দশমিক ২৫ শতাংশীয় পয়েন্ট কমিয়ে ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশে নামানো হয়। ২০১৩ সালে রেপোতে সর্বোচ্চ সুদহার ছিল ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ।