a
});রয়টার্সের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক আর্থিক বাজারে অস্থিরতা, যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ম্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদহার বাড়ানোর পদক্ষেপ, চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা ইত্যাদি কারণে ডলার সূচক আরও বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিভিন্ন দেশের মুদ্রার বিপরীতে আরও বেড়েছে ডলারের দাম। এর ফলে ইউএস ডলার ইনডেক্সেও নতুন রেকর্ড হয়েছে। গতকাল বুধবার সূচকটি শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ১১৪ দশমিক ৭৮ পয়েন্টে পৌঁছেছে, যা গত ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০০২ সালে এই পর্যায়ে পৌঁছেছিল সূচকটি।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বেশি হয়- এমন ছয়টি দেশ ও অঞ্চলের মুদ্রার সঙ্গে ইউএস ডলারের গড় বিনিময় হারের ভিত্তিতে ইউএস ডলার ইনডেক্স বা ইউএসডিএক্স হিসাব করা হয়। বর্তমানে যে মুদ্রাগুলোর ভিত্তিতে সূচকটির হিসাব করা হচ্ছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইউরো, সুইস ফ্রাঁ, জাপানি ইয়েন, কানাডিয়ান
ডলার, ব্রিটিশ পাউন্ড ও সুইডিশ ক্রোনার। ১৯৭৩ সালে চালু হয় সূচকটি। এর মাধ্যমে বিশ্ববাজারে ডলারের দর কেমন তা বোঝা যায়।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ব্রিটেনে কর কমানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে- এমন ঘোষণা আসার পর সম্প্রতি ডলারের বিপরীতে পাউন্ড স্টার্লিংয়ের আরও দরপতন হয়েছে। সোমবার প্রতি পাউন্ডের দর নামে ১ দশমিক ০৩২৭ ইউএস ডলারে, যা এ যাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে কম। আন্তর্জাতিক কারণগুলোর সঙ্গে অভ্যন্তরীণ কারণ যোগ হয়ে দাম কমেছে পাউন্ড স্টার্লিংয়ের। যদিও বুধবার তা সামান্য বেড়েছে।
দর কমেছে ইউরোরও। বুধবার প্রতি ইউরোর দর দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৯৫৬ ডলারে। জাপানে সরকারের হস্তক্ষেপের পরও ডলারের বিপরীতে দেশটির মুদ্রা ইয়েন এ বছরের সর্বনিম্ন পর্যায়ে অবস্থান করছে। প্রতি ইউএস ডলার কিনতে হচ্ছে ১৪৪ দশমিক ৫৩ ইয়েনে। এর বাইরে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য মুদ্রার ক্ষেত্রেও একই অবস্থা চলছে।