রোববার প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে ৯৩ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে, কমেছে ১১৭টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৬০টির দর। ফ্লোর প্রাইসে কেনাবেচা হওয়া শেয়ার ছিল ১৭১টি। গতকাল ১ হাজার ৮১০ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা গত বৃহস্পতিবারের তুলনায় ১৪৪ কোটি টাকা বেশি। ১৮৬ কোটি ৬১ লাখ টাকার লেনদেন নিয়ে শীর্ষে ছিল ওরিয়ন ফার্মা, যা ছিল মোট লেনদেনের ১০ শতাংশের বেশি।সপ্তাহের শুরু হয়েছে বেশিরভাগ শেয়ারের দর ও সূচকের পতনে। গতকাল আলোচিত অনেক বড় কিছু কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে। এতে সূচক হারিয়েছে ৪৮ পয়েন্টের বেশি। এর মধ্যেও কিছু শেয়ারের দর বেড়েছে। অন্তত আট শেয়ার সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরে কেনাবেচা হয়েছে। বিপরীতে বড় অঙ্কের শেয়ার দিনের পর দিন ফ্লোর প্রাইসে পড়ে থাকছে। আর আগের ধারাবাহিকতায় গুটিকয় শেয়ার লেনদেনের সিংহভাগ দখলে রেখেছে।গতকাল ব্যাংক খাতের ৩৩ শেয়ারের মধ্যে ২১টি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ২৩ শেয়ারের ১২টি, বীমা খাতের ৫৮ শেয়ারের মধ্যে ২৮টি, বস্ত্র খাতের ৫৪ শেয়ারের মধ্যে ৩৩টি এবং খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২১ শেয়ারের মধ্যে ৯টি ফ্লোর প্রাইসে কেনাবেচা হয়েছে। আর ৩৭ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩৪টি ফ্লোরে পড়ে আছে।
দিনের লেনদেন শেষে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৮ পয়েন্ট হারিয়ে ৬৫১৫ পয়েন্টে নেমেছে। প্রথম আধা ঘণ্টায় সূচকটি ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে ৬৫৯৯ পয়েন্ট ছাড়িয়েছিল। এরপর আলোচিত ও বৃহৎ মূলধনি কিছু শেয়ারের দর কমায় ক্রমাগত সূচক কমতে থাকে। স্বাভাবিক লেনদেন শেষ হওয়ার ৮ মিনিট আগে সূচকটি দিনের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে ৯০ পয়েন্ট হারিয়ে ৬৫০৮ পয়েন্টে নামে।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বিকন ফার্মা, বেক্সিমকো ফার্মা, ওরিয়ন ফার্মা, বেক্সিমকো লিমিটেড, জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, এক্মি ল্যাব, শাহজীবাজার পাওয়ার, কোহিনূর কেমিক্যাল এবং ডেলটা লাইফের দরপতন বড় কারণ ছিল। এই ১০ শেয়ারের দরপতনে ডিএসইএক্স সূচক ৫৪ পয়েন্ট হারায়। এর মধ্যে বিকন ও বেক্সিমকো ফার্মার দরপতনেই সূচক হারায় ২৪ পয়েন্ট। তবে গতকাল ইউনিক হোটেল, বিডিকম, ইস্টার্ন হাউজিং, নাহী অ্যালুমিনিয়াম, মালেক স্পিনিং, সী পার্ল, ন্যাশনাল পলিমার এবং সোনালী পেপারের দর বেড়েছে।