প্রাথমিকভাবে এক বছর মেয়াদের এই এমওইউতে স্বাক্ষর করেন বিসিসিসিআইর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আল মামুন মৃধা এবং সিইএবির ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যান জিংচাও। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান, বিসিসিসিআই সভাপতি গাজী গোলাম মুর্তজা এবং সিইএবি সভাপতি কে চাংলিয়ান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিসিআই) এবং চায়নিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশের (সিইএবি) মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। শনিবার ঢাকার পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে স্বাক্ষরিত এ সমঝোতা স্মারকের অন্যতম লক্ষ্য বাংলাদেশে চীনা প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরবরাহকারীদের মধ্যে আরও নিবিড় যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করা।
বিসিসিসিআইর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়েছে।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ সমঝোতার মাধ্যমে দুই সংগঠন শুধু যোগাযোগ ও সহযোগিতা বাড়াতেই কাজ করবে না; চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ এগিয়ে নেওয়া, দু’দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ে সহায়তা করবে। এ উদ্দেশ্যে একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠন করা হবে এবং এর অধীনে যৌথ ফোরামে আলোচনা ও মতবিনিময় হবে। এ ফোরামে নিয়মিত আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যমান ও সম্ভাব্য বাণিজ্য বিরোধের নিষ্পত্তি হবে। ভিসা প্রক্রিয়াকরণ, ব্যাংকের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, বাংলাদেশে চীনা ব্যাংক স্থাপন, মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল, আইনি পরামর্শ, বিনিয়োগকারীদের সহায়তা, প্রচার ইত্যাদি বিষয়ে কাজ করবে। সহযোগিতার অন্যান্য ক্ষেত্রের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের সংশ্নিষ্ট বিভাগ, চীনা দূতাবাস এবং স্থানীয় ও বিদেশি ব্যবসায়ী চেম্বারের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো এবং উভয় সংগঠনকে সংশ্নিষ্ট আইন, বিধি-বিধান বুঝতে ও মানতে সহায়তা করা।