তিনি আরও বলেন, সৈয়দপুর আঞ্চলিক বিমানবন্দর এবং বাংলাবান্ধা ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে বাণিজ্য ও যোগাযোগ বাড়বে। বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ উভয় দেশের জন্য লাভজনক হবে। বাংলাদেশ-ভুটান অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) স্বাক্ষরের ফলে উভয় দেশের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে।বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশ ভুটানসহ প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ স্থাপন করতে দেশের সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং এর প্রয়োজনীয় উন্নয়নের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। তৃতীয় দেশের মধ্য দিয়ে ভুটানের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং পর্যটন বাড়বে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজের অফিস কক্ষে ভুটানের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব দেব দাশো কর্মা শেরিনের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক বৈঠক এসব কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ-ভুটান সচিব পর্যায়ের অষ্টম সভায় যোগ দিতে প্রতিনিধি দলটি ঢাকায় এসেছিল। ঢাকায় গত মঙ্গল ও বুধবার এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভুটান পিটিএ স্বাক্ষর হয়। গত ১ জুলাই উভয় দেশ প্রয়োজনীয় এসআরও জারি করেছে। এ চুক্তির ফলে ভুটানের ৩৪টি পণ্য বাংলাদেশের বাজারে এবং বাংলাদেশের ১০০টি পণ্য ভুটানের বাজারে শুল্ক্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে। এর ফলে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়বে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ-ভুটান সচিব পর্যায়ের সভায় বাংলাদেশ পক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ নেতৃত্ব দেন। সভায় বাংলাদেশ-ভুটান ট্রানজিট চুক্তি এবং প্রটোকল চূড়ান্ত করা, তৃতীয় দেশের মধ্য দিয়ে যোগাযোগ সহযোগিতা এবং বাণিজ্য, দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা ও বিভিন্ন আঞ্চলিক ফোরামে পারস্পরিক সমর্থন, পর্যটন শিল্পের বিকাশে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানো, ভুটান থেকে পাথর আমদানি, সোনাহাট শুল্ক্কবন্দরের মাধ্যমে ভুটানের পণ্য পরিবহনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সচিব পর্যায়ের নবম সভা ভুটানে অনুষ্ঠিত হবে।