a
});একইসঙ্গে আন্তঃদেশীয় সীমান্তে বাণিজ্যে লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য এই মুদ্রা ব্যবহার করতে পারবে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। চীনা মুদ্রা ইউয়ানে ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে ক্লিয়ারিং হিসাব খুলতে পারবে। এই মুদ্রায় বিদেশে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো প্রতিনিধিত্বকারী শাখায় হিসাবও খুলতে পারবে। ওইসব হিসাবে কোটা অনুযায়ী চীনা মুদ্রা ইউয়ান রেখে বৈদেশিক বাণিজ্যের লেনদেনও করা যাবে। এলসি খোলা যাবে।
এর আগে ২০১৮ সালে চীনা মুদ্রা ইউয়ানে দেশি ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক ক্লিয়ারিং হিসাব খোলার সুযোগ দেয়। ওই সময় থেকে ব্যাংকগুলো চীনা মুদ্রায় এলসি খোলাসহ বৈদেশিক বাণিজ্যে ব্যবহারের সুযোগ পায়। কিন্তু চীন থেকে বাংলাদেশের আমদানি বেশি ও রপ্তানি কম হওয়ায় চীনা মুদ্রার সরবরাহ কম হচ্ছে। যে কারণে উদ্যোক্তারা চীনা মুদ্রায় এলসি খুলতে উৎসাহিত বোধ করছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে থেকে দেখা যায়, একক দেশ হিসাবে চীনের সঙ্গেই বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য রয়েছে। বাংলাদেশের মোট আমদানির ২৬ শতাংশ এবং রপ্তানির ৩ শতাংশ হয় চীনের সঙ্গে। যে কারণে চীন থেকে ইউয়ানের আয় বাংলাদেশের কম হচ্ছে। কিন্তু আমদানি ব্যয় বেশি হওয়ায় ডলারের ওপরই নির্ভরশীল হতে হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের দাম বেশি হওয়ায় বিকল্প মুদ্রা ব্যবহারের উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরই অংশ হিসাবে ওই সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, চীনা মুদ্রায় সে দেশের সঙ্গে এলসি খোলাসহ সব ধরনের বাণিজ্য করার সুযোগ রয়েছে। এজন্য ব্যাংকগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোনো দেশের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যাংকগুলোতে ইউয়ানে হিসাব খুলতে পারবে। ওই হিসাব থেকে লেনদেনও করতে পারবে। একই সঙ্গে আন্তঃদেশীয় সীমান্ত বাণিজ্য নিষ্পত্তি করতেও এই মুদ্রা ব্যবহার করা যাবে।