এফবিসিসিআই কার্যালয়ে জাইকা ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে সংগঠনটির সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু এ প্রত্যাশার কথা জানান। এফবিসিসিআইর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।দেশের সব স্থল, সমুদ্র ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে খাদ্যপণ্যের টেস্টিং ল্যাব স্থাপনে জাইকার সহযোগিতা চেয়েছে এফবিসিসিআই।তিনি বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশী খাদ্যপণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। স্থলবন্দরে স্বীকৃত মানের ল্যাব সুবিধা থাকলে এসব রাজ্যে দেশের কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানি সহজ হবে। এ ছাড়া বিমান ও সমুদ্রবন্দরে ল্যাব সুবিধা থাকলে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য ও কৃষিপণ্যের বিশাল বিশ্ববাজার ধরতে পারবে বাংলাদেশ।
এফবিসিসিআইর সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, সংরক্ষণ ও সাপ্লাই চেইন দুর্বলতার কারণে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের বড় অংশ নষ্ট হয়ে যায়। স্থানীয় পর্যায়ে রক্ষণাবেক্ষণ সুবিধা না থাকায় কৃষকরাও ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই উপজেলা পর্যায়ে খাদ্য প্রক্রিয়াজাত ও সংরক্ষণ সুবিধা সম্প্রসারণ প্রকল্প হাতে নেওয়ার জন্য জাইকা কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে জাইকা ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের যৌথ কার্যক্রম সম্পর্কে জানানো হয়। দুই প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে দেশে একটি রেফারেন্স ল্যাবরেটরি ও প্রশিক্ষণ কমপ্লেক্স স্থাপনের জন্য একটি ঋণ প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে বলে জানান নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য রেজাউল করিম।
জাইকার প্রধান কার্যালয়ের প্রতিনিধি তেরুয়াকি ফুজি বলেন, বাংলাদেশে টেকসই খাদ্যনিরাপত্তার জন্য নিরাপদ খাদ্যের জোগান নিশ্চিত করা জরুরি। জাইকার অর্থায়নে সম্ভাব্য প্রকল্পটি এ দেশের খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প বিকাশে সহায়তা করবে বলে মনে করেন তেরুয়ারি ফুজি।এফবিসিসিআইর মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক দেশে বেসরকারি টেস্টিং ল্যাব স্থাপনের লক্ষ্যে এফবিসিসিআইর সঙ্গে অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য জাইকাকে আহ্বান জানান।