a
});দরপতন ঠেকাতে গত জুলাইয়ের শেষে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি সব শেয়ারের দরের সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেয়। ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হচ্ছে- এমন খবরে অনেকে শেয়ার বিক্রি করছেন, যার ফলে দরপতন হচ্ছে বলে বাজারের অনেকের ধারণা। টানা তিন সপ্তাহের ১৩ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩৫৯ পয়েন্ট বাড়ার পর চলতি সপ্তাহের প্রথম দু’দিনে এর পতন হয়েছে। গতকাল সোমবারে ৫৮ পয়েন্টসহ দু’দিনে সূচক হারিয়েছে ৭৭ পয়েন্ট। বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সমকালকে বলেন, ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত বিএসইসি নেয়নি। একশ্রেণির অসাধু বিনিয়োগকারী বাজারকে অস্থিতিশীল করে কম দামে শেয়ার হাতিয়ে নিতে এমন গুজব ছড়াচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
সোমবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টায় ডিএসইএক্স সূচক ৩০ পয়েন্ট বেড়ে ৬৫১৯ পয়েন্ট ছাড়ানোর পর নিয়মিত লেনদেন শেষ হওয়ার পাঁচ মিনিট আগে ওই অবস্থান থেকে ৯৮ পয়েন্ট হারিয়ে ৬৪২১ পয়েন্টে নামে। ক্লোজিং প্রাইসের হিসাব শেষে অবশ্য সূচক ৬৪৩১ পয়েন্টে থেমেছে। এর আগে টানা তিন সপ্তাহের ঊর্ধ্বমুখী ধারার ধারাবাহিকতায় গত রোববারও লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টায় ৭৬ পয়েন্ট বেড়ে ৬৫৮৫ পয়েন্ট ছাড়িয়ে ছিল ডিএসইএক্স সূচক। তবে পরের পৌনে তিন ঘণ্টায় ১১০ পয়েন্ট হারিয়ে ৬৪৭৫ পয়েন্টে নামে।
গতকাল ডিএসইতে ৩৮টি শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ২৬৩টির এবং অপরিবর্তিত ৬৮টির দর। মাত্র দুই দিনের দরপতনে আবারও ফ্লোর প্রাইসে নেমেছে ৭৪ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড। এদিকে আগের দিনের তুলনায় শেয়ার কেনাবেচার পরিমাণ প্রায় ৯০০ কোটি টাকা কমে এক হাজার ৪০০ কোটি টাকায় নেমেছে।